বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরে ফেরদৌস আলম খোকন দেড়মাস পূর্বে বরিশালের আ লিক অফিসের মাধ্যমে গত ২১ ডিসেম্বর যোগদান করেন। একটি সূত্রে জানা যায়, ফেরদৌস আলমের নিজ গ্রাম গাইবান্দা জেলায় তিনি খারজানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ একই লোক দুই স্থানে চাকুরী করেন। সরকারী কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফেরদৌস আলম দুই স্থানে চাকুরী করে যাচ্ছেন। ফেরদৌস আলম খোকনকে জিজ্ঞাস করা হলে সে নিজে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন লোক ধরে সুপারিশের তদবির চালান। গাইবান্ধা উপজেলার খারজানা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলমের কাছে জানতে চাইলে (০১৭২৯-১০৪৬৫১) তিনি বলেন হাজিরা খাতায় তার নাম উঠানো হয়না। কিন্তু ফেরদৌস আলম কয়েকদিন ধরে আমাদের স্কুলে আসেনা। কারন কি সে সম্পর্কে জানা যায়নি। সহকারী শিক্ষা অফিসার সাহেবের কাছে ফোন করে জানতে পারলে সবচেয়ে ভাল হবে। সহকারী শিক্ষা অফিসার মাকসুদুল (০১৭৪১-২২৬৯১১) জানান, গত একমাস যাবৎ ফেরদৌস স্কুলে অনুপস্থিত। কিসের জন্য তা জানতে পারিনি। তবে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারী একই লোক দুই স্থানে চাকুরী করলে তার সাজা হবে এবং ফেরদৌস আলম খোকন আমাদের কাছে চাকুরী অব্যাহতির কোন কাগজপত্র জমা দেননি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে যদি দুই স্থানের চাকুরীর কোটা দখল করে রাখেন তবে তার খেসারত তাকেই দিতে হবে। সরকারের সাথে প্রতারণা করে পার পেয়ে যাবে কিনা তা তিনি নিজেই জানেন। দু’জায়গায় চাকুরীর খবর ছড়িয়ে পরলে ফেরদৌস আলম খোকন কাগজপত্র ঠিক করার জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন।